সবার পারমিশন নিয়ে একটা তথ্য শেয়ার করছি।
থ্রিপস, মাইটস, এফিডস ইত্যাদি চোষি পোকার জ্বালাতনে আমরা সবাই কম বেশি ভুক্তভোগী। বিভিন্ন কেমিক্যাল পেস্টিসাইড ও ইনসেক্টিসাইড ব্যবহার করি। তাও মাঝে মাঝে এদের কাবু করতে জীবন বেরিয়ে যায়।
আমি জৈব ফাংইসাইট ও পেস্টিসাইড এর ব্যাপারে অনেক আগেই কিছুটা জানতাম। তবে নিজে হাতে প্রয়োগ কখনো করিনি। আস্তে আস্তে ট্রাইকোডার্মা ভিরিডি, ট্রাইকোডার্মা হারজিনাম ব্যবহার করা শুরু করলাম। এরপর নাম শুনলাম ব্যাসিলাস আমিনোলিকিউফসিন, ব্যাসিলাস সাবটিলিস। খুব পড়াশুনা শুরু করলাম। বর্তমানে এগুলো প্রয়োগ করছি এবং রেজাল্টও খুব ভালো। তবে একটা বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে ক্যামিকেল ফাংইসাইট ব্যবহার করবার পর এরা নষ্ট হয়ে যায়। তাই আবার দু থেকে তিন বার এদের প্রয়োগ করতে হয়। দরকার পড়লে তিন থেকে পাঁচবার ও প্রয়োগ করতে হতে পারে।
এবার আসি চোষি পোকাদের ব্যাপারে।
কেমিক্যাল ব্যবহার করার ফলে পোকারা খুব তাড়াতাড়ি নিজের ইমুউনেট করে নেয়। কারন ওদের জীবনকাল অনেক ছোট। তাই ওদের ইমিউনিটি বাড়তে বাড়তে বিবর্তন হয়ে যায়। এবং ওদের পরবর্তী প্রজন্ম আরো মারাত্তক হয়ে যায়। যার ফলে ডোজ বাড়িয়েও কোন কাজ হয়না। এবং ওভারডোজের জন্য একসময় গাছের ক্ষতি হয়ে যায়। এই জন্য এক্সপার্টরা বরাবর ওষুধ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে মারতে বলে। যাতে পোকাদের বিবর্তনে বাধা আসে।
এবার দুটো জৈব ওষুধের নাম বলি,
1. বেউভেরিয়া বেসিয়ানা
এবং 2. বেসিলাস থোরিঙ্গিনিসিস।
বেওভেরিয়া বেসিয়ানা সকল প্রকার পোকা-মাকড় এর জন্য খুব ভালো কাজ করে। এরা অনেক প্যারাসাইটের মত কাজ করে। এরা বিভিন্ন ক্ষতিকারক পোকাদের প্রথমে ইনফেক্টেড করে এবং আস্তে আস্তে মেরে ফেলে। সাধারণত মাইট, থ্রিপস দের মতো ছোট পোকাদের তিন-চার দিনে মেরে ফেলে। আর বড় পোকাদের মারতে মোটামুটি ছয় থেকে দশদিন নেয়।
আর বেসিলাস থোরিঙ্গিনিসিস একটি ক্রিস্টাল প্রোটিন বানায়, যেটা বিভিন্ন প্রকার পোকার জন্য বিষ। মাইট বা থ্রিপস যখন ওই প্রোটিন গুলো খায়, মারা যায়। কিন্তু না খেলে মরবে না। তবে ওরা খায়।
এবার ভালো খবর হল, যে কোন কেমিক্যাল পেস্টিসাইড বা ইনসেক্টিসাইড ব্যবহার করলে এরা মরে না। কারন এরা ছত্রাক। তবে কেমিক্যাল ফাঙ্গিসাইট ব্যবহার করলে এরা মারা যায়। তখন আবার পুনরায় ব্যবহার করতে হবে।