pH
ইদানিং কালে বিজ্ঞাপনের দৌলতে যবে থেকে আমাদের চামড়া “ত্বকে” পরিণত হয়েছে, আমরা সবাই মোটামুটি “pH” ব্যাপারটা জেনে ফেলেছি। যাঁরা জানেননি বা ভুলে গেছেন, তাঁদের জন্য বলি, pH হচ্ছে Potential or Power of Hydrogen। এটা একটা 0-14 স্কেল যাতে করে বোঝা যায় কোন জিনিস অ্যাসিডিক না নিউট্রাল না অ্যালকালাইন।
0 থেকে 7 এর আগে হল অ্যাসিডিক, 7 হল নিউট্রাল ( জল) আর 7 এর ওপর হল অ্যালকালাইন।
pH এর তারতম্য যেমন আমাদের শরীরকে প্রভাবিত করে , গাছেরও তাই। এক-একরকম গাছ এক একরকম pH পছন্দ করে, pH এর মান ওঠানামা করলেই গাছের অসুবিধে হয় ।
আমাদের শরীর খারাপ হলে যেমন চেহারায় বোঝা যায় , গাছেরও তাই। গাছের স্বাস্থ্যের অবনতি খুব সহজেই বোঝা যায় পাতা দেখে।
ছবিতে দেখুন বাঁদিকে জবাপাতার রঙ, যেন শিরা বেরিয়ে গেছে , কেন হয় এমন? এর কারন মাটিতে Ph এর তারতম্য। জবাগাছ পছন্দ করে ঈষৎ অ্যাসিডিক মাটি। অথচ আমরা অনেকেই শুধু খোলজল বা শুকনো খোল দিই যেটা ক্ষার (ছোটবেলার রূপকথা মনে আছে ? রাণী ক্ষার খৈল দিয়ে সুগন্ধি জলে স্নান করতেন? ওটিই খোল, সাবান, ক্ষারকীয় i.e.alkaline. ). ক্ষার দিলে মাটির ph বেড়ে যায়, যে গাছ অ্যাসিডিক মাটি পছন্দ করে তারা মাটি থেকে প্রয়োজনীয় নিউট্রিয়েন্টস্ যেমন Iron/Nitrogen শোষণ করতে পারে না। ফলত পাতার শিরা-বার-হওয়া দশা। আপনার গন্ধরাজ/ জবাগাছে এমনটা হলে সব সার/রুটিন বন্ধ করে একটা দুটাকার কফি পাউচ একমগ জলে গুলে টবে দিয়ে দেবেন (ভিনিগারও দেওয়া যায়, আমি কফি দিই )। এই অ্যাসিডিক সলিউশনটা মাটির pH আবার অ্যাসিডিক করে দেবে। 7 দিন বাদে বাদে দুবার দিয়ে পাতা স্বাভাবিক সবুজ ( ডানদিকের ছবির মতো হলে) আবার নর্মাল রুটিন চালু করবেন। সাধারণত শীতকালীন গাছ অ্যালকালাইন/ক্ষারীয় মাটি পছন্দ করে। কোন পারটিকুলার গাছের সম্পর্কে জানতে হলে গুগল করতে পারেন।

