ভাই আকাশ খুব ইন্টারেস্টিং একটা বিষয় তুলেছেন। আপনি যদি এটা জেনে বুঝে প্রশ্নটা করেন তার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ,এটা বুঝতে গেলে প্রথমেই কয়েকটা ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে , আমরা বর্তমানে কোন স্ট্যান্ডার্ড গাছটা করছি, নিজেকেই সেটা বুঝতে হবে, কারণ এই বিষয়গুলো একটু উঁচু বিজ্ঞানের সাথে যুক্ত, বারবার বলছি এই বিষয়গুলো প্রাথমিক অবস্থাতে মাথাতে ঢোকাবেন না, এই বিষয়গুলো নিয়ে এখনই মাথা খারাপ না করলেও চলবে,
এই সব বাখ্যার শেষ নেই, এখানেও গল্প হিসাবেই বিষয় টিকে পড়বেন ,
আমাদের প্রথমিক উদ্দেশ্য হবে সহজ-সরলভাবে গাছে প্রথম পঞ্চাশটা ফুল ফোটানো, তারপর কিন্তু সব এমনিই হবে, এবার আসা যাক মূল প্রশ্নে,
– গাছেদের এই বহুকোষী শরীর কিন্তু নিজের ভিতর একটা Homeostasis বা মানুষ্যতর ঘর সমান পরিবেশ তৈরি করে রাখে, যেখানে তাদের শারীরবৃত্তীয় কাজগুলো সবচেয়ে ভালোভাবে সম্পন্ন হতে পারে। এখন বাইরের পরিবেশ যদি খুব চরমভাবাপন্ন (খুব ঠান্ডা বা খুব গরম) হয় বা খুব তাড়াতাড়ি প্রচন্ডভাবে বদলাতে থাকে তখন কিন্তু একটা গাছের শরীরকে ক্রমাগত সেই পরিবেশের সাথে এডজাস্ট করে যেতে হয়। আমাদের যেমন মানসিক ভালো লাগা খারাপ লাগা এগুলোর সাথে কিন্তু এই শরীরের ভালো খারাপ লাগার সরাসরি যোগাযোগ – ধরুন এই যে ডোপামিন বা এই ধরনের কিছু কেমিক্যাল/ হরমোন ক্ষরিত হলে আমাদের আনন্দ হওয়ার সেন্স বেশ বেড়ে যায় – আমাদের ভালো লাগে সেই কারণে ডোপামিন যেসব খাবার খেলে বা কাজ করলে ক্ষরিত হয় সেগুলো খেলে আমাদের বেশ আনন্দ হয়।একটা গাছকে সবকিছু ঠিকঠাক যোগান দিলে তাদেরও কি খুশি হরমোন ক্ষরণ হয়?(অবশ্যই হয়, )তাদের শরীরেও স্নায়ুতন্ত্রে বলে কিছু আছে ??? তবে এ কথা কিন্তু বলা যেতেই পারে তাদের স্মৃতিশক্তি আছে এবং সব বোঝে তারা ,
কিভাবে ? মজার বিশয় টা দেখুন আপনার নিজ ছাদে গিয়ে , প্রতিটা গাছ তার নিজের ব্যাপারে পুরোপুরি সচেতন। ধরা যাক একটা গাছ, তার কান্ডের কোনো অংশ থেকে একটা পার্শ্বশাখা বেরোচ্ছে। এখন সেই কচি শাখাটার ওপর যদি অন্য গাছের ছায়া পড়ে, তাহলে সেটা দ্রুত বেড়ে জায়গা দখলের চেষ্টা চালাবে। কিন্তু যদি সেটার ওপর একই নিজ গাছের অন্য ডালের ছায়া পড়ে, তাহলে তার বৃদ্ধি হবে তুলনায় ধীর। যেনো গাছটা ভালো করেই জানে যে এ তার নিজেরই ছায়া, এখানে প্রতিযোগিতার কোনো দরকার নেই। এটাকে কি বলবেন?
আমাদের ছোট বেলার কথা ,লজ্জাবতী (Mimosa pudica) গাছের ওপর করা একটা বিশেষ পরীক্ষার দ্বারা দেখা যায়
এই প্রজাতির গাছের পাতায় কোনো কিছুর ছোঁয়া লাগলে পাতাগুলো কিছুক্ষণের জন্য গুটিয়ে যায়। সেই গাছের পাতার ওপর জলের ফোঁটা পড়লে প্রথম প্রথম পাতাগুলো গুটিয়ে যায়। কিন্তু পরপর কয়েকবার জলের ফোঁটা পড়ার পর গাছটা যদি বোঝে যে এ থেকে ক্ষতির কোনো আশংকা নেই তাহলে এরপর জলের ফোঁটা পড়লেও পাতাগুলো আর কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায় না। তাহলে বুঝতেই পারছেন ,ওরা সব বোঝে, তাই তাদের ভালোবাসায় ফাকি মারবেন না, ওরা ধরে ফেলবেই,
আমার ভাই Ranajit ,swapan .ও বন্ধু প্রদিপের গাছগুলো নাকি ওদের মুখেরদিকে তাকিয়ে থাকে !!!
আবারো ভবিষ্যতে অনেক মজার অবজারভেশন নিশ্চয়ই জানা যাবে আপনাদের থেকেই,
এখন মূল বিষয়ে আসা যাক, গাছের শরীরেও এই ধরনের বহু Chemical conductor enzyme / Hormone কাজ করার জন্য একটা শারীরিক stable PH environment জরুরী।
মাটির পিএইচ”এর মান একটি সংজ্ঞা মাত্র। আমরা জানি একটা গাছ বিভিন্ন ph এ বিভিন্ন ধরনের লবণ গ্রহণ করে, এটি হাইড্রজেন আয়নের ঘনত্বের মাত্রা বোঝায়, কারণ হিসেবে বলা যায় উচুঁ দোলনা চড়লে আমাদের অনেকেরই বমি পায় / অস্বস্তি হয় কারণ মানবদেহকে ক্রমাগত এবং খুব তাড়াতাড়ি বিভিন্ন পরিস্থিতির এবং বিভিন্ন g force এর মধ্যে দিয়ে যেতে হয় যার সাথে আমরা মানিয়ে নিতে পারি না। তেমনি একটি বাতাসের ঝড়েতে ও তাদেরকেও সেই ভাবেই যেতে হয়, ঝড়ের প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রথম প্রথম একটা পুরো আগোছালো ভাব দেখতে পাবেন পাতাতে, তিনদিন পর দেখবেন নিজেরা গুছিয়ে নিচ্ছে, সমগ্র পাতাতে একটা ফ্রেসনেস চলে আসে, তেমন গরমে কিছু ধাতব মৌল ম্যাগনেসিয়ামের Mg++, আর বর্ষায় ক্যালসিয়াম উপাদানগুলি বেশী এ্যক্টিভ হয়, ম্যাগনেসিয়াম অ্যাক্টিভ হওয়ার ফলে ফসফেট ইন্টাক্ট বেশি হতে থাকে তার ফলস্বরূপ গরমকালে গাছের অত্যাধিক রুট হওয়া, আবার বর্ষায় ক্যালসিয়াম অ্যষ্টিভ হবার ফল সরুপ একটি ডালের সেকেন্ডারি গ্রোথ হওয়া, এটাকে বলে মেটাল অ্যাকটিভেটর, একটি যেকোনো মিডিয়াতে পিএইচকে পরিবর্তনশীল হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এর কারণ এটি অনেকগুলি রাসায়নিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। ওয়েদারের সঙ্গে মেন গেমটা খেলে বিভিন্ন উৎসেচক বা enzyme. সঠিক একটি টেম্পারেচারে 20c-30cমধ্যে এই উৎসেচকের ক্রিয়া সবথেকে ভালো হয়, এটি বিভিন্ন পুষ্টির রাসায়নিক ফর্মগুলি নিয়ন্ত্রণ করে এবং তারা যে রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলি (NPK) সঙ্গে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট সহ্য করে সেগুলো তাদের প্রভাবিত করে। নাহলে একটা গাছের পছন্দসই গ্রোথ ফ্যাক্টর বা optimum temperature বা পরম উষ্ণতা বলে কথা থাকতো না, বিশেষত আমার মনে হয় এইসময় কার্বোহাইড্রেটের ব্যবহার বা শর্করা (কার্বন + হাইড্রেট ) গাছের শরীরে একটা ভালো খেলা খেলে দেয় , এবং উদ্ভিদের পুষ্টির প্রাপ্যতাকে প্রভাবিত করে। আবার উষ্ণ, আদ্র পরিবেশে মাটির মিডিয়া সাধারণত অম্লীয় প্রকৃতির হয়ে যায়, সিন্ডারের ক্ষেত্রে উল্টোটা এবং যে কোন মিডিয়াতে বেশি পরিমান moisture control করলে ঠাণ্ডা, শুষ্ক পরিবেশে মাটি ক্ষারীয় প্রকৃতির হয়। অর্থাৎ এখানে মাটির বা মিডিয়ার pH এর সাথে আবহাওয়ার পরিবর্তনেরও সম্পর্ক বিদ্যমান। যেকোনো মিডিয়া নিয়ে আপনি গাছ করতেই পারেন কিন্তু মিডিয়ার PH ,Ec সম্বন্ধের ওঠা নামা সম্বন্ধে সম্যক ধারণা না থাকলে আপনি কখনোই কাঙ্ক্ষিত রেজাল্ট পাবেন না, কারণ একটি মিডিয়া যখন ১ বছর পর কম্পোস্ট হতে শুরু করে তার নিজস্ব পিএইচ টেন্ডেন্সির বহিঃপ্রকাশ সে করবেই, উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে মাটির গাছ করলে সব সময় একটা অম্লীয় দিকে টান থাকে, আবার পারলাইটে কাজ করলে সে মিড়িয়া এক বছরের মধ্যে ক্ষার টেডেন্সি হয়ে যায়,
সেরকমই দেখবেন যখন আবহাওয়া খুব দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে – দিনের দিকে দ্রুত খুব ঠান্ডা থেকে একটা শুকনো গরম আবহাওয়ায় যাচ্ছে আবার রাতে বেশ ঠান্ডা পড়ছে বা ভাদ্র মাসে প্রচন্ড Humidity , বা পুরুলিয়ার মে মাসের প্রবল গরমে শরীরে অস্বস্তি হয় – তাই মানসিক ভাবেও সেই অস্বস্তি, খারাপ লাগে । পাশাপাশি এইরকম দ্রুত পরিবর্তিত পরিবেশে গাছের শরীরেও বিভিন্ন সংক্রমণ অ্যাক্টিভ চান্স র সম্ভাবনাও বেড়ে যায়, কারন একটা গোলাপ গাছ এই দ্রুত আবহাওয়া পরিবর্তন কখনো মানিয়ে নিতে পারে না, সব সময় একটা স্থিতাবস্থার আবহাওয়া এরা পছন্দ করে, গাছেদের শরীর বারবার মানিয়ে নেওয়ার মাঝে immunity -র ব্যাপারটা কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে নিজেরা বাঁচবার জন্য রেচন পদ্ধিতির মাধ্যমে দ্রুত পাতা ফেলতে চায়, লক্ষ করে দেখবেন আপনার বাড়ির সব থেকে ছোট মিনিয়েচার জাতীয় গাছ গুলোর পাতা ফেলা বা হলুদ হওয়া খুব সহজেই বোঝা যায়, গাছের মূলেও চরম আবহাওপন্ন ওয়েদারেও শ্বসন প্রক্রিয়ার ফলে গাছ হতে নির্গত কার্বন-ডাই-অক্সাইড (CO2 ) এর ফলে মাটিতে কার্বলিক এসিডের (H2CO3) পরিমাণ বৃদ্ধি করে যা মিডিয়ার pH হ্রাস করে মাটিকে বা মিডিয়াকে অম্লীয় প্রকৃতির করে তোলে। কিছুদিন বর্ষা চলাকালিন হটাৎ রোদ উঠলেও সেই সমস্যা হয়, ফ্রেস রুটের গাছ কোন ভাবে রৌদ্রের মুখ না দেখলেও পাতা পড়ার সমস্যা দেখা যায়,
আজ অসুস্থ শরীর নিয়ে আপনাদের সাথে একটি গল্প করলাম মাত্র, গল্পচ্ছলে লেখাটা পড়বেন,
এই প্যানডেমিক সিচুয়েশনে সবাই ভাল থাকবেন,
দারুন দারুন লেখা, কোন কথা হবেনা,
আমি এই লেখাটা বহুবার পড়েছি কিন্তু সঠিক বাখ্যা টা আমার কাছে ধরা দিচ্ছিল না , একটা প্রশ্নের উত্তর কিছুতেই মেলাতে পারছিলাম না,
আমার বাড়ি গঙ্গার পাশে, ফলে সব সময় একটা জলীয় বাষ্পর হাওয়া বইতে থাকে, এবং লক্ষ্য করছিলাম বহু কিছু করার পরেও এবছর আমার গাছে প্রয়োজনমতো পাতা পড়ছিল না , তাই গঙ্গার হাওয়াটা কুফল না সুফল আজও বুঝে উটতে পারিনি , কিন্তু একটা জিনিস বুঝতে পারছি আমার পাতা ঝরার সমস্যাটা অন্য লোকেদের থেকে কম, পাতার স্থায়িত্ব বেশী, সেটা সিজনে কতটা ভালো হবে কি মন্দ হবে সেটা সময় বলবে, এখানে দাদা একটা কার্বোহাইড্রেট কথাটা লিখেছে পুরো গেম চেঞ্জার হিসাবে তাকে দেখানো হয়েছে , এই জিনিসটি কি? Here why Carbohydrate has been used i can’t understand please some one explain it how carbohydrate feeding is compare as game changer here..
এখানে গাছ যতটা শর্করা, গ্লুকোজ, সুক্লজ উৎপাদন করবে, তার উপর নির্ভর করবে তার নিজস্ব ফাংঙ্গি এসোসিয়েশন গুলো সত্বা গুলো। যেটা ওয়েদার এর উপর নির্ভর করবে তাদের গ্রোথ রেট বা জিবন চক্র। যদি ধরি একটা পাতার গড় আয়ু 85দিন মত থাকছে বা তার বেশি তার মানে সঠিক আদ্র পূর্ণ, বা স্যারের ভাষায় সপৃন্ত ও অসপৃন্ত বায়ু পরিবর্তনের গেপ এখানে কম থাকছে তার ফলে পাতা তার মোচন কালকে দীর্ঘতম করতে পারছে। তার সাথে, গঙ্গার হাওয়া ও আদ্র তা হেতু সঠিক এনপিকে পরিবহন,করতে পারছে গাছ নিজে থেকে।